সারাদেশে নির্বাচন ঘিরে সহিংসতায় নিহত ১১, আহত ৬৪
ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে৷ এখন পর্যন্ত দেশের কয়েকটি এলাকায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ১১ জন৷ আহত ৬৪ জন৷ গ্রেপ্তার হয়েছেন ৮ জন।
চট্টগ্রাম, রাজশাহী, নোয়াখালী, বগুড়া, কক্সবাজার, দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি এবং কুমিল্লায় সহিংসতায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে৷
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় ভোট কেন্দ্রের সামনে আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে৷ রাজশাহী- ৩ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আয়েন উদ্দিন জানান, রোববার দুপুরে উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নে পাকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে৷ রোববার সকাল সোয়া ১০টার দিকে পটিয়ার পশ্চিম মালিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখল নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে নিহত হন আবু সাদেক৷ তিনি দক্ষিণ মালিয়ারা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে৷ আবু সাদেক বিএনপির সমর্থক ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন৷
রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়ায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের সংঘর্ষে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বাসেরউদ্দিন নিহত হয়েছেন৷ সকাল সাতটার দিকে ঘাগড়া ইউনিয়নের কাসখালী এলাকায় দুই দলের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়৷ হামলায় গুরুতর আহত বাসের উদ্দিনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান৷ এ হামলায় ১৫ জন আহত হন৷
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় ভোটকেন্দ্র দখল নিয়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষে গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন৷ কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার পশ্চিম বেলাস্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে পুলিশের গুলিতে মজিবুর রহমান নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন৷ এ সময় মিজানুর রহমান নামের আরেক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন৷ যশোর-৩ (সদর) আসনের বিএনপি প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলামের ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা৷যশোর শহরের বারন্দীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গেলে দুর্বৃত্তরা তাঁর গাড়ির ওপর হামলা চালায়৷
সুত্র: ডয়েচে ভেলে বাংলা